ঢাকা, শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে পাহাড় ধসের শঙ্কা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৯ জুন ২০২২ ১২:৫৭:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

মৌলভীবাজারে থেমে থেমে চলছে ভারী বর্ষণ। গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে জেলার টিলাভুমি ও পাহাড়ি এলাকায় মাটি দ্রুত নরম হয়ে আসছে। এতে টিলা ও পাহাড় ধ্বসের আশংকা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান কমলগঞ্জ উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করে সচেতনতামুলক কার্যক্রম চালিয়েছেন। পাশাপাশি বুধবার শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগ জানায়, গত এক সপ্তাহ যাবত থেমে থেমে ভারী বর্ষণ চলছে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায়। উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র চন্দ্র বৈদ্য সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে সিলেট বিভাগের সর্বোচ্চ ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবার সিলেটের লালা খালে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সেই এলাকায় পাহাড় ধ্বসে ৪ জন ঘুমন্ত নাগরিক নিহত হন।

জানা যায়, মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মিঠুন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ৭ জুন থেকে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার উপর দিয়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে পাহাড়/টিলার পাদদেশে বসবাসরত জনসাধারণকে নির্দেশনা অনুযায়ি নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে।

পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হবে। এ মর্মে নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে পাহাড়ে বসবাসকারী বিভিন্ন বাড়ি ও পানপুঞ্জিতে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, গত কয়েকদিন যাবত ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের ফলে টিলা ও পাহাড়ি এলাকায় মাটি নরম হয়ে গেছে। তাই বুধবার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পাহার/টিলায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

অপরদিকে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান সোমবার কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগমারার রাসটিলা এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি এই এলাকায় অব্যাহত টানা বর্ষণে টিলা ধসের আশঙ্কাযুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ভূমিধসের মত দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে সচেতন থাকতে বলেন।

পরে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান কমলগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের প্রয়োজনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করার নির্দেশ প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসকের পরিদর্শনকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমানসহ স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।