ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

যশোরের মিলন হত্যা মামলায় বেনাপোলের হিরো আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২ জানুয়ারী ২০২২ ১০:৩১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

যশোরের বেনাপোলে মিলন হোসেন হত্যা মামলার আসামি বেনাপোল ভবের বেড় পশ্চিমপাড়া বর্তমানে বেনাপোল পোড়াবাড়ি নারায়ণপুরের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে হিরোকে আটক করেছে পিবিআই। 

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পূর্বমধ্যপাশা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নিহত মিলনের একটি সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগে ভিকটিমের পরনের কাপড়, ভিকটিমের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, দলিলের ফটোকপি ও ভিকটিমের এনআইডি কার্ডের একটি ফটোকপি ছিলো। নিহত মিলন হোসেন যশোর সদরের চুড়ামনকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত মিলনের ছেলে বিপ্লব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায মামলা করেন।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, তার নেতৃত্বে পিবিআইয়ের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুশুর বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পূর্বমধ্যপাশা গ্রাম থেকে রোববার সকালে হিরোকে আটক করে। মিলন হত্যাকান্ডের পর থেকেই হিরো পলাতক ছিলো।

মামলার তদন্ত কর্মকতা এসআই ডি.এম. নুর জামাল হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিরো পুলিশের কাছে স্বীকার করে সে ও তার সহযোগীরা ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ও মাদকাসক্ত। গভীর রাতে বেনাপোল রেলষ্টেশন এলাকায় আগত লোকজনদের কাছ থেকে সবর্স্ব ছিনিয়ে নেওয়াই তাদের পেশা।

মিলনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে সে স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল মাছ বাজারস্থ অভিযুক্তের নিজ ভাংড়ির দোকান থেকে মিলন হোসেনের একটি সাদা প্লাষ্টিকের ব্যাগ (যাতে ভিকটিমের পরনের কাপড়, ভিকটিমের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি, দলিলের ফটোকপি ও ভিকটিমের এনআইডি কার্ডের একটি ফটোকপি) উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত হিরোকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ আসামির জবানবন্দি গ্রহন করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ আগস্ট সকালে চুড়ামনকাঠির বাড়ি থেকে জমির দলিল নিয়ে মিলন বের হয়ে যায়। দুই দিন অতিবাহিত হলেও মিলন বাড়ি ফেরে না। পরে ৩১ আগস্ট সকালে বেনাপোল রেল স্টেশনের ১শ গজ পূর্বে রেলকর্মচারিদের পরিত্যক্ত ভবনের সামনে থেকে মিলনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় যশোর পুলিশের পিবিআই এর একটি টিম লাশ সনাক্তর জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে।