ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হাট বাজারগুলোতে ভেজাল খেজুর গুড়ে ছড়াছড়ি। বিভিন্ন জেলা থেকে এসব ভেজাল গুড় এনে বাজারজাত করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম। এতে চাহিদা বেড়েছে গুড়েও। বেশি লাভের আশায় শীত মৌসুমের আগেই উত্তরের জেলা নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভেজাল পাটালি ও খেজুর গুড় কিনে আনছেন ব্যবসায়ীরা। নিম্নমানের ঝোলা ও নরম গুড় গলিয়ে তাতে চিনি, রং, হাইড্রোজ, সোডা, ফিটকিরি, পাথুরে চুন ও বিশেষ গাছের ছালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হয় এসব গুড়। গুড়ের চাহিদা ও উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে প্রতি ১০ লিটার রসে দুই কেজি চিনি মেশানো হয়। গুড়ের রং ফরসা ও গুড় শক্ত করতে মেশানো হয় চিনি। প্রতি কেজি গুড় বিক্রি করা হয় ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়।
তবে ভেজাল গুড় বিক্রির ব্যাপারে কথা বলতে রাজী হননি স্থানীয় গুড় ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা জানান, শুধু গৃহস্থের গুড়ে ভেজাল থাকে না। তবে যারা ব্যবসা করার জন্য খেজুর বাগান লিজ নিয়ে খেজুর গুড় তৈরি করেন তাদের অধিকাংশই গুড়েচিনি মেশান। মূলত বেশি লাভের আশায় তারা এ কাজ করছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর হাঁসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: মো: ফারুক হোসেন বলেন, গুড়ে মেশানো চিনি ক্ষতিকারক না হলেও ক্ষতিকারক কেমিক্যাল হাইড্রোজ ও ফিটকারি ব্যবহারের ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদি আহমেদ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভেজাল গুড় বিক্রেতাদের দ্রুত বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।