সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ৭ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী রাজনা হত্যার বিচারের দাবীতে উত্তাল শান্তিগঞ্জ, বিশাল মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছল ও সড়ক অবরোধ।
বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের পাথারিয়া সুরমা স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে, প্রভাষক মোস্তাহার মিয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রাণী তালুকদার, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ফয়জুর রহমান, বিজয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমদ,সমাজসেবী মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মহিবুর রহমান, শিক্ষক, শিক্ষিকা, ইউপি সদস্য, সমাজসেবী, ছাত্র/ছাত্রী সহ এলাকার সকল শ্রেণী পেশার অসংখ্য ব্যক্তিবর্গ।
সকাল ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত পাথারিয়া বাজার এলাকা মানববন্ধন, বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগন,ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা হত্যায় জড়িতদের ফাসির দাবীতে বাজার এলাকাকে প্রকম্পিত করে। এ সময় প্রায় আড়াই ঘন্টা দিরাই-মদনপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার উজ আজামান- মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান৷ সেখানে তিনির হস্থক্ষেপে যান যচলাচল স্বাভাবিক হয় এবং উপস্থিত সবাইকে আসস্থ করেন রাজনা হত্যার দোষীদের অচিরেই কয়েকদিনের ভিতর দ্রুত বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
বক্তরা বলেন, এরকম নিঃসংশ হত্যাকান্ডে যারা জড়িত দ্রুত খোজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক আশা স্থি প্রদানের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।
উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ফয়জুর রহমান জানান এর আগে আমাদের এলাকায় এরকম ঘটনা ঘটে নাই, এরক ঘটনায় আমাদের ছেলে/ মেয়েরা ঘর থেকে বের হতে আতংক বিরাজ করছে। দ্রুত সময়ে দোষীদের বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থী দাবী করেন।
ইউপি সদস্য হাবীবুর রহমান জানান এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই, এ ঘটানায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি চাই।
সমাজসেবী মোহাম্মদ আলী জানান আমার ৫০ বছরের বয়সে এ ধরণের নেক্কারজন ঘটনা শুনিনি দেখিনি। এই ধরণের হত্যাজজ্ঞের সাথে যারা জড়িত দ্রুত বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি চাই।
উল্লেখ্য গত ২২ জুলাই শনিবার সন্ধায় শরীফপুর তালুকদার বাড়ী সংলগ্ন সড়কের পাশে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজনা বেগম পাথারিয়া গ্রামের ইস্রাইল মিয়া মেয়ে ও স্থানীয় সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে ২৩ জুলাই শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন রাজনা বেগমের পিতা ইস্রাইল মিয়া। ঘটনার পর গত রবিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য নিহত রাজনার চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাককে জড়িত সন্দেহে থানা পুলিশ আটক করে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমাকে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আমি এই ঘটনায় জড়িত নয়। যে প্রকৃত হত্যাকারী তার বিচারও দাবি করেন তিনি।
নিহতের পিতা ইস্রাইল মিয়া জানান আমার মেয়ে রাজনা বেগমের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই বলে বার বার মুর্চায় যাচ্ছিলেন, পরে আর তিনি কথা বলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর শান্তিগঞ্জ থানার সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশিস ধর বলেন, রাজনা হত্যার বিষয়ে বহুমূখী তৎপরতা রয়েছে, এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।