ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিবগঞ্জে হয়রানি থেকে বাঁচতে গ্রাম বাসীর সংবাদ সম্মেলন

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ০৫:৪৪:০০ অপরাহ্ন | রাজশাহী
বগুড়ার শিবগঞ্জের গুজিয়া মাঝপাড়া গ্রামে হয়রানি থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রাম বাসী। সোমবার সকাল ৮ ঘটিকায় উপজেলার গুজিয়া মাঝপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রাম বাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অত্র এলাকার মৃত আকবর হোসেনের ছেলে আলহাজ্ব মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন জুড়ি মাঝপাড়া গ্রামের মোঃ বেলাল হোসেনের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান তার নিজ বাড়ীতে মূর্তি পূজা করতো বলে জানায় এবং বেলাল হোসেনের নির্দেশে তার বাড়ীতে গিয়ে মূর্তি সদৃশ্য বস্তু, ধুপকাঠি, তসবি, মোমবাতি প্রভূতি পাওয়া যায়। তখন মেহেদীর বাবা বেলাল হোসেন এবং দাদা সফির উদ্দিনের নির্দেশ ও সম্মতিতে মূর্তিটি ভেংগে ফেলে গ্রাম বাসী। এমতাবস্থায় মেহেদীর দাদা সফির উদ্দিন বলেন "মুসলমান ঘরের ছেলে মুসলমানের ধর্মই পালন করবে"। এর প্রেক্ষিতে আলেম ওলামাদের সাথে পরামর্শ ক্রমে সিদ্ধান্ত হয় মেহেদীর ঈমান নবায়ন করতে হবে। এর জন্য তাকে গোসল করাতে হবে এবং কলেমা পাঠ করাতে হবে। মেহেদী স্বেচ্ছায় গোসল পূর্বক কলেমা পাঠ করে। তখন সিদ্ধান্ত  হয় মেহেদীকে পড়াশুনার জন্য স্কুলে পাঠানো হবে এবং স্থানীয় মেজবাউল মাষ্টার তার পড়াশুনার দায়িত্ব নেন। পড়াশুনার প্রসঙ্গে সবাই তখন বলে মাথায় বড় চুল নিয়ে স্কুলে যাওয়া যাবে না। তখন মেহেদীর দাদী বলে তার নাতীর মাথার চুল কেটে দেওয়া হোক এবং তার দাদী নিজ হাতে মেহেদীর চুল কেটে দেয়। মেহেদীর বাবা বেলাল হোসেন একজন গাঁজা সেবনকারী এবং নিয়মিত বাড়িতে গাঁজা সেবন করে। তাই মেহেদী সেখানে উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলে " আমি স্কুলে যাব তবে আমার বাবাকে আর গাঁজা খাওয়া যাবে না"। তখন বেলাল আর গাঁজা খাবেনা মর্মে অঙ্গিকার করে। বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে ভেবে গ্রামবাসী মনে করে। কিন্তু মেহেদী গোপনে তার গানের দলের কিছু অসাধু কুচক্রী মহলের কুপরামর্শে তার দাদীর হাতে কাটা চুল সংগ্রহ করে তৎকালীন রাজনৈতিক মারপ্যাচে সাম্প্রদায়িক ঘটনা হিসেবে উপস্থাপন করে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলাকে আরো জোড়ালো করতে নিজেরা তাদের খড়ের পালা, খড়ির মাচায় আগুন দিয়ে দায়ভার আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। এই মিথ্যা মামলায় কয়েকজন গ্রামবাসী হাজতবাস করে এবং পরবর্তীতে মহামান্য আদালত মামলা টি মিথ্যা হওয়ায় খারিজ করে দেন। কিন্তু এতে তারা ক্ষান্ত হয় নাই। আমাদেরকে আবারো হয়রানী করার জন্য ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতে থাকে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হলে কে বা কাহারা তার (বেলাল এর) বাড়িতে হামলা করলে তার দায়ভার আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। তারা ষড়যন্ত্র করে অতীতে আমাদের হয়রানী করেছে এবং ভবিষ্যতেও হয়রানী করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমি আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি যেন ভবিষ্যতে আমাদের হয়রানির শিকার হতে না হয়। আমরা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারি।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিঠু মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, টুনু মিয়া, আব্দুল জলিল, দুদু মিয়া, হাবিল মিয়া, মজনু মিয়াসহ শতাধিক গ্রামবাসী।