সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বিলোপ করার আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সংবিধান সংস্কারে একটি সংস্কার কমিশন। ইতোমধ্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যেই সংস্কার প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করার জন্য কাজ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে এই মুহূর্তে দেশের দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বলছে- সংবিধান সংশোধন করা কিংবা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের এখতিয়ার ও ম্যান্ডেট একমাত্র জাতীয় সংসদের। এমনকি উভয় দলই মনে করে সংবিধান সংশোধন হবে নাকি নতুন করে লেখা হবে- সেটিও শুধুমাত্র সংসদের এখতিয়ার।
এরপর থেকেই বিতর্ক জোরালো হয়ে উঠেছে যে, সংবিধান সংশোধনের মতো একটি বিষয়ে বর্তমান সরকারের ম্যান্ডেট আছে কি না।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের যা দাবি ছিলো তা পূরণ হয়েছে। সংস্কারের ম্যান্ডেট তাদের ছিলো না’।
সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পাওয়ার পর জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ তার পোস্টে আরো লিখেন, সংবিধানের শুরুতে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজের ভিত্তি, এই বাক্য পুনঃসংযোজন করতে হবে। যা বিগত সরকার সংবিধান থেকে অপসারণ করেছে। কারণ এটি এ দেশের মানুষের চিরায়তের মূল্যবোধের বিরোধী। শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণকারী একটি সংবিধান আমাদের প্রত্যাশার কথা এই পোস্টে উল্লেখ করেন পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলছেন, যেখানে আমাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রতিফলিত হবে। সংবিধানে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী কোনো ধারা-উপধারা সংযোজন করা যাবে না এবং থাকলে অপসারণ করতে হবে।
সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য এক আলোচনা সভায় তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন উল্লেখ করেন তিনি। দেশের বাইরে অবস্থান করায় ওই সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানিয়ে তিনি লিখেছেন,লিখিত প্রস্তাবনাসহ তার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
বায়ান্ন/এসএ