ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সদরপুরে ইউএনও’র পক্ষে বিএনপি ও জামায়াতের মানববন্ধন

সনত চক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:৪০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগের সূত্রে তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশের বিরুদ্ধে পৃথক দুই স্থানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে সদরপুর উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ও একই সময় সদরপুর উপজেলা পরিষদের চত্বরে  সদরপুর উপজেলা পর্যায়ে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পৃথক দুটি মানববন্ধন করে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সদরপুর ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন এর সভাপতিত্বে উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মমিন, কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেনসহ উপজেলার অর্ধশতাধিক বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেয়। উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের বক্তব্যে বলেন,  ইউএনও আল মামুন এর বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগ দ্রুত প্রত্যাহার করে তাকে নিজ-কর্মস্থলে পুনর্বহাল রাখা হোক।  

অপরদিকে সকাল ৯টায় সদরপুর উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ (ইউএনও) আল মামুনের পক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে দলের নেতাকর্মীরা। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কাজী বদরুজ্জামান বদু, সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যা, সাবেক বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী, যুগ্ন-আহবায়ক বাহালুল মাতুব্বর, কে,এম আবু সাইদ, মোতালেব হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সদরপুর শাখার আমির মো. দেলোয়ার হোসেন, যুবদলের প্রস্তাবিত আহবায়ক মো. বিল্লাল হোসেনসহ আরও অনেকে। 

উল্লেখ্য, বুধবার ১১ই ডিসেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানাযায়, আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে এমন মন্তব্য করার অভিযোগে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন কে তাৎক্ষণিক মৌখিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান তালুকদারসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

সভায় বক্তব্য দেন ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি সদরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও আল মামুন। অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য রাখি। সেখানে দিল্লি না ঢাকার প্রশ্নে বলা হয়েছিল, দিল্লির কোনো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। আনিসুর রহমান আরও বলেন, ইউএনও তাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। ওই সময় তিনি তাঁর অঙ্গ ভঙ্গিতে এবং তাদের ছলে কৌশলে বলার চেষ্টা করেন, আওয়ামী লীগ উইল বি কাম ব্যাক, টুডে অর  টুমোরো (আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে, আজ অথবা আগামীকাল)।

সভায় এ বক্তব্যের জেরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে ওই ইউএনওকে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান তালুকদারকে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুন জানান, আমি কখনোই এ ধরনের কথা বলিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ