মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০২২সালের ২১ অক্টোবর । এরপর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। এতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। দলীয় কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহাবুদ্দিন নান্নুকে সভাপতি ও জাহাঙ্গীর আলম ফরাজীকে সাধারণ সম্পাদক করে সাত মাস আগে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময়ই বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের নেতারা এই কমিটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু তিন বছর মেয়াদী ওই কমিটির মেয়াদ সাত হলেও উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি।
উপজেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, উপজেলা বিএনপি তিন ভাগে বিভক্ত। উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আশরাফ আলী হাওলাদার এর একটি গ্রুপ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন নান্নুর একটি গ্রুপ ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফরাজীর একটি গ্রুপ। তাই নিজেদের লোক কমিটিতে আনতে অধিক সুপারিশের কারণে কমিটি গঠনের এই সময় হচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হওয়ায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নেয় না অনেক নেতা কর্মী। তাই নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি'র নেতারা জানান, সর্বশেষ সম্মেলনের আগে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ছিলেন আশরাফ আলী হাওলাদার। কিন্তু সম্মেলনে তাকে হারিয়ে সাবেক উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি শাহাবুদ্দিন নান্নু পূনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়। নিজেদের লোকজন কমিটিতে স্থান দিতে এবং নিজের লোক তৈরি করতে সময় লাগার কারণে উপজেলা সম্মেলনের সাত মাস পরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি তাদের সমর্থন হারাবে।থ
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আশরাফ আলী হাওলাদারের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী বলেন, জেলা বিএনপি কি কারনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিচ্ছে না তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন নান্নু বলেন, আমি একটু ব্যাস্ত আছি এ ব্যাপারে পরে কথা হবে।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া জানান, দুই এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি দেওয়া হবে। বিভিন্ন তদবিরের কারণে কমিটি গঠনে একটু সময় লেগেছে।