ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

সরাইলে পুত্রের ছুরিকাঘাতে পিতা খুন

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১০:৪২:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর
তিন সন্তানের জনক হলেও কোনো কাজকর্ম না করে প্রবাসী পিতার টাকায় চলতো মনির হোসেন। তাছাড়া চাচাসহ অন্য আত্মীয়-স্বজনদের কাছে নিয়মিতই ধারদেনা করা মনিরের অনেকটা স্বভাবে পরিণত। টাকা চেয়ে না পাওয়ায় শেষতক প্রবাসফের পিতা মোগল মিয়াকে ছুরিকাঘাতে খুন করে স্ত্রীকে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় মনির। পৈশাচিক এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা এলাকার। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে মর্গে।
 
 
রোববার (২৩ অক্টোবর) সকালে জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় ঘটে এহেন পৈশাচিকতা। নিহত মোগল মিয়া (৫৫) দেওড়া পশ্চিমপাড়ার মৃত নবী হোসেনের ছেলে। ঘটনার পরপরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে পাতৃঘাতক মনির হোসেন ও তার স্ত্রী। পুলিশ তাদেরকে খুঁজছে।
 
 
নিকতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেওড়া পশ্চিমপাড়ার মোগল মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের সৌদিআরব প্রবাসী। গত এক মাস পূর্বে তিনি দেশে ফিরেন। তার দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মনির হোসেন সবার বড়। তিন সন্তানের জনক হয়েও নিজে কোনো কাজকর্ম না করে পিতার কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নিয়ে চলতো মনির। শুধু তাই নয়, চাচাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের কাছেও ধারদেনা করা মনিরের অনেকটা অভ্যাসজাত। রোববার সকালে মোগল মিয়া ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পর তার কাছে টাকা চায় ছেলে মনির। পিতা মোগল মিয়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর এক পর্যায়ে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিতার বুকে ছুরিকাঘাত করে। শোরচিৎকার শুনে আশপাশের স্বজনরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় মোগল মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান। এদিকে ঘটনার পরপরই স্ত্রীসহ বাড়ি ছেড়ে পালায় পিতা হন্তারক মনির হোসেন স্ত্রীসহ বাড়ি ছেড়ে বেপাত্তা হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
 
 
 

সরাইল থানার পরিদর্শক (ওসি) আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'ঘাতক ছেলে মনির ও তার স্ত্রী ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। তাদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।'