অনেক প্রতিক্ষার ৫ জানুয়ারী, অনেক উৎকন্ঠার ৫ জানুয়ারী, প্রার্থীদের অনেক হিসাব নিকাশ মিলানোর দিন আজ ৫ জানুয়ারী। রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। লোকমুখে এখন পর্যন্ত সদরের সকল ইউনিয়নে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে। অসমর্থন সূত্রে জানা গেছে ১ নং হরিপুর ও ৪ নং বটতৈল ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ভোটের ময়দান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করছে। প্রতিটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিপদে দলীয় নৌকার প্রার্থীরা।
সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। তবে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশ কিছু স্থানে রয়েছে সন্ত্রাস ও সহিংসতার আশংকা। ইতিমধ্যে ৫ম ধাপের নির্বাচন ঘিরে গোস্বামী দুর্গাপুর, বটতৈল, আব্দালপুর সহ বেশ কিছু স্থানে ঘটেছে সহিংসতা। সহিংসতায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল সহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে এর মধ্যেও নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সঠিক ভাবে নিয়েছে উপজেলা নির্বাচন কমিশন।
আজ নির্বাচনের দিনেও বহু স্থানে সহিংসতার আশংকা করছে অনেকেই। নির্বাচনের আগেই সহিংসতার মাত্রা ও কথার লড়াই দেখে এমন আশংকা বলে মনে করেন ভোটাররা । বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে গোস্বামী দুর্গাপুর, আব্দালপুর, বটতৈল, মনোহরদিয়া, পাটিকাবাড়ী, আলামপুর, ঝাউদিয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়নে থমথমি ভাব বিরাজ করছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কুষ্টিয়া সদরের নির্বাচনের হালচাল দেখে সহিংসতার আশংকায় নির্বাচনের পোলিং এজেন্ট থেকে শেষ মুহুর্তে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক নির্বাচনী মিটিং এ উপজেলার সকল ইউনিয়নে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে নির্বাচন গ্রহনযোগ্য ও সুষ্ঠু করতে হবে। সেই সাথে নির্বাচন ঘিরে কেউ যেন কোন সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে সেই দিকে লক্ষ রাখতে নির্দেশ দেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য সকল সদস্যকে জানান।