সরকার সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য বাকস্বাধীনতা রক্ষা এবং বিতর্কিত ধারাগুলোর অপব্যবহার বন্ধ করা। আইনটির ৯টি বিতর্কিত ধারা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগে সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ তৈরি করেছিল।
নতুন খসড়ায় বাতিলকৃত ধারাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- ২০ ধারা: কম্পিউটার সোর্স কোড পরিবর্তন সংক্রান্ত অপরাধ।
- ২১ ধারা: মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় প্রতীক নিয়ে বিদ্বেষমূলক প্রচারণার জন্য শাস্তির বিধান।
- ২৪ ধারা: পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ।
- ২৫ ধারা: আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার।
- ২৯ ধারা: মানহানিকর তথ্য প্রকাশ।
এগুলো বাদ দেওয়ার মাধ্যমে আইনটির অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নতুন খসড়ায় কিছু ধারা সংশোধন করে রাখা হয়েছে এবং নতুন অপরাধ যুক্ত করা হয়েছে:
- ব্ল্যাকমেইলিং ও অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রচার নতুন অপরাধ হিসেবে সংযুক্ত।
- মামলা করার ক্ষেত্রে শুধু সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলা করতে পারবে।
নতুন আইনের খসড়ায় এমন কোনো ধারা রাখা হয়নি যা বাকস্বাধীনতার জন্য হুমকি হতে পারে।
নতুন অধ্যাদেশে শুধু ব্যক্তিগত তথ্য নয়, ডিজিটাল অবকাঠামো, ডাটাসেন্টার, ক্লাউড স্পেসের নিরাপত্তার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাদেশটি এখন উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। সংশোধন ও নতুন সংযোজনের মাধ্যমে আইনটি আধুনিক সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বায়ান্ন/এএস