বিশ্বব্যাপী দাম প্রায় ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সরকার আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষকের স্বার্থসুরক্ষা ও খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
জনস্বার্থে সরকারের নেওয়া ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে সার প্রণোদনা (ভর্তুকি) বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও অর্থবছর শেষে এই বরাদ্দ বাড়াতে হতে পারে বলে মনে করছেন বাজেট সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক আন্দোলন এড়ানো এবং নির্বাচনের আগে খামার খাতে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কোনো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা যাবে না। তাই সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সুপারিশের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট পরিকল্পনায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে করণীয় সবকিছু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিক্রিয়ায় আমরা সারের দাম না বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। কারণ এখানে বিপুল সংখ্যক গ্রামীণ শ্রমিক নিযুক্ত রয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, ২০২০ সালে দেশের কৃষি খাতে মোট ৩৮.৩০ শতাংশ শ্রমিক নিযুক্ত রয়েছে। যাদের জিডিপিতে অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কৃষককে সার ও বীজসহ কৃষি উপকরণে প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ২০০৮-০৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত তথা বিগত ১৩ বছরে শুধু সারেই সরকার ভর্তুকি দিয়েছে প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকিতে ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল।