![](https://dainikbayanno.com/storage/whatsapp-image-2024-12-19.jpg)
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৯০ টাকা জমা থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত বলছে, এই টাকা তোলা যাবে না, তবে একাউন্টগুলোতে টাকা জমা করা যাবে।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
শুনানিকারী দুদকের আইনজীবী মীর মোশাররফ আলী গণমাধ্যমকে জানান , দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন।
এদিন ইসলামী ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে ১ হাজার ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলমের ছেলে ও ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে দুদক বলেছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তারসহ পরিবারের সদস্যদের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বিভিন্ন শাখায় ১২৫টি হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। হিসাবগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।
এস আলম নামে বেশি পরিচিত সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ গোপন করার জন্য ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা রাখার কথা তুলে ধরা হয় আবেদনে।
এতে বলা হয়, যেকোন সময় এই অর্থ ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে বিদেশে পাচার করার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে হিসাবগুলো জমা রাখা টাকা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এর গত ৭ অক্টোবর এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের মধ্যে ব্যাংক খাতে লুটপাটের অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়ে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ।
ইতোমধ্যে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের আরো কয়েকটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করে শেয়ার লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ার সরকারের মালিকানায় নেওয়ার কথা বলেছেন।
বায়ান্ন/এমএমএল/পিএইচ