ঢাকা, মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯শে মাঘ ১৪৩১
নৌবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’:

দেশজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ আটক ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৬:৫৪:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নেতৃত্বে চলমান 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' অভিযানের অংশ হিসেবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে একাধিক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার এবং বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া থানার ৬নং চরকিং ইউনিয়নে যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। জানা যায়, কলেজ রোডের হাজী আবুল বাশার মার্কেটের বিপরীতে কাওসার মিয়ার ব্রিকফিল্ড এলাকায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অবস্থান করছে।

নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের সমন্বিত অভিযানে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে বাহিনী দ্রুত ঘিরে ফেলে মোঃ নবির উদ্দিন, মোঃ ইমাম হোসেন ও মোঃ ফখরুল ইসলাম টিপু নামে তিনজনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে- 

  • ০১টি বিদেশি পিস্তল (ম্যাগাজিন ও ০১ রাউন্ড গুলিসহ)
  • ০৩টি একনলা দেশীয় বন্দুক
  • ০৮টি কার্তুজ
  • ২০টি ককটেল
  • ০২টি ডেগার
  • ০৩টি ক্রিজ
  • ০১টি তলোয়ার

উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের আরেকটি ধাপে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবির ওরফে বাবুল নামের এক ব্যক্তিকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বাবুল দীর্ঘদিন ধরে হত্যা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত ছিল।

একই রাতে মোংলা বন্দর ও দিগরাজ এলাকায় যৌথবাহিনী আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে। এতে চারজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে—

  • ০১টি দুইনলা বিদেশি বন্দুক
  • ১৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ
  • উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ এই অভিযানের মূল লক্ষ্য অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও উপকূলীয় অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: আইএসপিআর

 

বায়ান্ন/এএস