![](https://dainikbayanno.com/storage/01-63.jpg)
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যম কর্মীরা চরম চাপের মধ্যে কাজ করছেন। গেলো কয়েক মাসে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় ব্যাপকহারে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি ঘটেছে, যা কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং সাংবাদিকতায় আত্মনিয়ন্ত্রণ (সেলফ সেন্সরশিপ) বাড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় বিপজ্জনক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গেলো কয়েক মাসে ১৫০ জনের বেশি সাংবাদিক ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে এবং প্রায় ২০০ জন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া থেকে চাকরি হারিয়েছেন। তিনি এটিকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে বলেন, চাকরিচ্যুত গণমাধ্যম কর্মীদের পরিবার এখন মানবিক সংকটে পড়েছে।
গণমাধ্যমের ওপর প্রচ্ছন্ন চাপের প্রসঙ্গ টেনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা কিংবা সরকার অখুশি হবে এমন সংবাদ প্রকাশে তারা ভয় পাচ্ছেন। এমনকি, গণমাধ্যমগুলো জাতীয় পার্টির নেতাদের সাক্ষাৎকার নিলেও তা প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সার্বিকভাবে সামাজিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি।
সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, এসব সংগঠন দলীয় বিভাজনের কারণে পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে, কোন সরকারের আমলেই সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। বরং সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক সাংবাদিক চাকরি হারাচ্ছেন এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধান, অযথা হয়রানি বন্ধ এবং চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহালের দাবি জানান।
বায়ান্ন/এএস