ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

সিএমপির প্রয়োজনায় নির্মিত হবে সিনেমা ‘দামপাড়া’

Author Dainik Bayanno | প্রকাশের সময় : বুধবার ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৩১:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রযোজনায় মুক্তিযুদ্ধে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হকের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমা ‘দামপাড়া’।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে শুরু হবে ছবিটির শুটিং। ছবির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আনন জামান। পরিচালনা করবেন শুদ্ধমান চৈতন।

জানা গেছে, ‘দামপাড়া’ ছবিতে পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হকের চরিত্রে অভিনয় করবেন ফেরদৌস আহমেদ ও তার স্ত্রী মাহমুদা হক চৌধুরীর ভূমিকায় থাকছেন আশনা হাবিব ভাবনা।

যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, পাকিস্তানিদের লক্ষ্যই ছিল চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হককে হত্যা করা। অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা। শহীদ হন তিনি, তবে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এম. শামসুল হক ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। জীবন বাজি রেখে তিনি চট্টগ্রামের জনগণের সঙ্গে পুলিশকে একাত্ম করে এক জনযুদ্ধের সূচনা করেন। ২৮ মার্চের পর চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায়। ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর লালদিঘিতে পুলিশ সদর দফতরে স্থাপন করা হয় কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমে প্রতিনিয়ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বৈঠকে মিলিত হতেন। তারা পুলিশ সুপার শামসুল হকের দিক-নির্দেশনা নিতেন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম এলাকার সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর দুইশ বাঙালি সদস্য পুলিশ লাইন্সে আশ্রয় নিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও এসব বাঙালি সদস্যদের হাতে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দেওয়া হয়।  

২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়। পরে ২৯ মার্চ দিবাগত রাত ভোর ৪টার সময় পুলিশ লাইন্সের দক্ষিণ-পূর্বদিক এবং উত্তর-পূর্বদিক থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একযোগে আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারী মেশিনগান এবং থ্রি ইঞ্চি মর্টার ব্যবহার করে। যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ের ঢালে এবং ট্রেঞ্চে অবস্থান করায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথমদিকে বেশ বেগ পেতে হয়। পরবর্তীতে ভোর ৬টার দিকে গোলাবারুদের অভাবে যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে এবং পুলিশ সদস্যদের একটি বড় অংশ শাহাদাৎবরণ করেন।