সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপের তেলের ৬০ শতাংশই ডিজেল। এই গ্যাসফিল্ড তেল পাঠালেই ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধনের কাজ শুরু হবে।
গেলো ১০ ডিসেম্বর সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে মেলে উন্নতমানের তেলের সন্ধান। কূপটির ১ হাজার ৩৯৭ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় এই তেল পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেল পাওয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাসকূপ এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে সাংবাদিকদের জানান, তেলের মজুদের মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন শেষে মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও বলেন, আশা করি দুই মাসের ভেতর জানা যাবে এই কূপে কি পরিমাণ তেল আছে। আমরা আশা করি এটা হবে বাংলাদেশে কমার্শিয়ালি তেল উত্তোলনের একটি ভালো প্রকল্প।
এসময় দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সিলেটে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। জ্বালানি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এই এলাকার আশেপাশে আরও তেলের কূপ পাওয়া যেতে পারে।
সিলেটের তেলের মান পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। সেখানে অপরিশোধিত তেলের ৬০ ভাগই ডিজেল বলে প্রমনিত হয়েছে। এই তেলকে তাই উন্নতমানের বলছেন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, সিলেটে পাওয়া নতুন কূপের তেল অত্যন্ত উন্নতমানের। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি এই তেলের ষাট ভাগই ডিজেল, আর বিশ ভাগ ন্যাপথা এবং বাকি বিশ ভাগ বর্জ্য। আমরা আশা করি এই রিফাইনারিতেই এই তেল প্রসেস করতে পারবো।
দিনে কি পরিমান তেল পরিশোধনের পাঠানো হবে তা মজুদ মূল্যায়নের পর নির্ধারিত হবে। এই মূল্যায়নের পরেই রিফাইনারিতে পরিশোধনের জন্য আসবে সিলেটের তেল।