সৈয়দপুর রেলের ষ্টেশন এলাকায় ৮শত একর জমি রহিয়াছে। তার মধ্যে রেল কোয়ার্টার, বাংলো, অফিস, অপারেশনাল এরিয়ার ড্রেন নালা বাদে রেলের পুকুরসহ প্রায় ৫শত একর জমি প্রভাবশালী ভ‚মিদস্যুদের দখলে। এবং তাদের রয়েছে একটি বিশাল সিন্ডিকেট। ২০১৭ সালে দূদকের গণশুনানীতে অভিযোগ আমলে নিয়ে সত্যতা পেলেও দীর্ঘ ৫ বছরে একাধীক ভিআইপি, সিআইপি ভ‚মিদস্যুৃদের নোটিশ করে দূদক কার্যালয়ে তলব করলেও অজ্ঞাত কারণে অশুভ শক্তির ইশারায় তা যেন নিস্ক্রিয় রয়েছে।
রেল মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদনে কুখ্যাত ভ‚মিদস্যু ভাইজান বাহিনীর প্রধান ভাইজানকে তলব করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। সেটিও অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় মূখ্যমন্ত্রী ভাইজানের তদবীরে আলোর মুখ দেখেনি। রেলের জমি উদ্ধারে রেলের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরাও উক্ত ভাইজান বাহিনীকে ঢাল বানিয়ে উচ্ছেদ অভিযানের নামে নাটক করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। রেলের অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই এলাকার মূল অংশ দখলে রেখেছে স্থানীয় মুখ্যমন্ত্রী ভাইজান। রেলের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মচারী ২৫শে জুলাই বাদী হয়ে মহামান্য উচ্চতর আদালতে দূদকের নিস্ক্রিয়তার ব্যাপারে ৮১২৫/২০২২ দূর্নীতি দমন কমিশনকে বিবাদী করে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন।
মহামান্য আদালত দুইমাসের মধ্যে দূদককে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে মহামান্য আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘ ৩ মাস অতিবাহিত হলেও দূদক কোন এক অজ্ঞাত কারণে এখনো কোন প্রতিবেদন জমা দেয়নি। এব্যাপারে দূদকের সাথে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে কথোপকথনে জানায় সৈয়দপুরের একজন প্রভাবশালী সরকারদলীয় নেতা ভাইজান তিনিই এই কর্মকান্ডের মূল হোতা রাজনৈতিক প্রবাব খাটানোয় তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি খুই জটিল বিধায় আমরা উচ্চ পর্যায়ে বড় প্রসারে এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভালো হতো। আমরা ছোট কর্মচারী।
গোপন সূত্রে জানা যায় দূদক কর্মকর্তাগণ সৈয়দপুর পৌরসভায় পৌর মেয়রের কাছে গেলে তিনি তাদের অবজ্ঞা করে কাউন্সিলরদের লেলিয়ে দিয়ে তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন। এ ব্যাপারে সরকার দলীয় দেশপ্রেমিক ত্যাগী একাধীক নেতার সাতে কথা বললে তারা জানান রেলের স্থানীয় মূখ্যমন্ত্রী ভাইজান রেলটাকে লুটেপুটে খেয়ে রেলকে ধ্বংশ করে ফেলেছেন। তিনিই এখন রেলের জমি দখলের ভ‚মিদস্যুদের মূল রক্ষাকর্তা সেজে সরকারী লোক হয়েও সরকারী সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে যাচ্ছেন, মূলত তার জন্যই রেল বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে পারছে না। তিনি এখন দলের ভিতরে বিভক্তি তৈরী করে দলকে ভেঙ্গে সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে অপরাজনীতি চালু করেছেন। দলের মধ্যে তার কর্মকান্ডের সমালোচনা করলে তাকে দলে কোনঠাসা করে অপমানিত করা হয়।