এবার এক দফা দাবিতে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৭ জুলাই) রাত পৌনে ৭টায় আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক নাহিদ ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে রোববারের আন্দোলন সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। এছাড়া সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ চলবে।
বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু হবে।
এদিকে, এতদিন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বৈষম্য নিরসনের দাবি জানালেও এবার সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা সংস্কার করতে হবে।
আন্দোলনের সমম্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এবার ১ম ও ২য় শ্রেণিতে নয়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই আমরা। আমাদের বারবার আদালত দেখানো হচ্ছে। আমরা তাদের সংবিধান দেখাচ্ছি।
তিনি বলেন, কোটার বিষয়ে রাজপথ থেকেই ফায়সালা হবে। আলাপের দিন শেষ হয়ে গেছে। আমরা আলোচনা করেছিলাম ২০১৮ সালে। বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রহসন।
সমম্বয়ক সারজিস আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমাদের ভয় হয়। ১৯৭৫ সালের আগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও বন্ধুরূপে মোশতাক ছিল। প্রধানমন্ত্রীর পাশেও কিছু মোশতাক রয়েছে, যারা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন তার কানে পৌঁছে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ছাত্র সমাজ প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছে। সংবিধান অনুসারে যৌক্তিক সংস্কার করুন। নাতি-পুতি কোটা আমরা মানি না। একটি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ হতে পারে না।
সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কোটা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমরা মেধাভিত্তিক প্রশাসন গড়তে চাই। এটা একইসাথে কৃষক-শ্রমিকের আন্দোলন।