জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনির্মিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আলমগীর কবিরের ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক ব্লকে বসবাস করছেন ছাত্রনেতা ইয়া রাফিউ সিকদার আপন। কোটাসংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে একটি পোস্ট দেয়।
আজ (১৫ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দিন আহমেদ হলের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে ইয়া রাফিউ সিকদার আপন কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে লেখেন, ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে কোন রাজাকার বলে স্লোগান চলবে না। বুকের পাটা থাকলে আমার সামনে এসে দিস যার দেওয়ার ইচ্ছা। আর যেইডারে ধরতে পারবো সেইডার তখনই হল ছেড়ে দিতে হবে।’
তার এই পোস্টের ফলে হলে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই সে পোস্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হয়। হল বরাদ্ধপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হল ছাড়া করার হুমকি দিলেও আদতে তার নিজেরই এই হলে কোনো সিট বরাদ্ধ নেই। সিট বরাদ্ধ না থাকলেও সে হলের ৫২২ নাম্বার রুমে একাই অবস্থান করে।
ইয়া রাফিউ সিকদার আপন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এর আগে ২০১৮ সালে ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে আদালতে নির্দেশে দুই বছর পর ছাত্রত্ব ফিরে পান এই ছাত্রলীগ নেতা।
এবিষয়ে হল ছাত্রলীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সহ সম্পাদক সজিব হাসান সাজ বলেন, আমি জানা মাত্রই তাকে দিয়ে পোস্ট ডিলেট করিয়েছি। সে আমাদের সক্রিয় কর্মী তবে এভাবে অতি উৎসাহী হয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়াতে আমরা বিব্রত। তাকে আমরা এ বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে অন্যসকল বিষয় নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি। আমি বিষয়টি অবগত হলাম এবং আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
উল্লেখ্য যে, এর আগেও তাকে একাধিকবার হলে অবৈধ ছাত্রলীগ নেতাদের বিষয়ে অবগত করা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেন নি।