দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী শুরু হয়েছে। গত (৪ জুলাই) সোমবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পেঁয়াজ আমদানীতে অনুমতি (আইপি) দেওয়ায় মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ভারতীয় ট্রাক দেশে প্রবেশ করে।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানীকারক শহীদুল ইসলাম জানান, দেশের পেঁয়াজ চাষীদের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে সরকার গত ৫ মে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ করে দেয়। ফলে আমদানী করা ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ফুরিয়ে যায়। এরপর দেশি পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মিটানো হলেও সেই পেঁয়াজেরও সরবরাহ কমে আসে। আবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা হওয়ার কারণে দাম বেড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, সরকারের কাছে আসন্ন কোরবানীর ঈদে দাম যেন না বাড়ে সেজন্য ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি চেয়ে বন্দরের আমদানীকারকরা আবেদন করেন। এরিই প্রেক্ষিতে গত সোমবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামার বাড়ী) থেকে পেঁয়াজ আমদানীতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে গতকাল মঙ্গলবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী শুরু হয়েছে। এরফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে যাবে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বন্দরে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৩২-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আজ বুধবার থেকে কেজিতে ৩-৪ টাকা করে দাম কমতে পারে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ইউসুফ আলী জানান, গতলভঠ সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পেঁয়াজ আমদানীতে অনুমতি দিয়েছে। ফলে হিলি স্থলবন্দরের ১২ জন পেঁয়াজ আমদানীকারক ভারত থেকে ১২ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি পেয়ে আমদানী শুরু করেছেন।
এদিকে বন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক আসা শুরু হয়েছে। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য তাই বন্দরে প্রবেশের সাথে সাথে ভারতীয় ট্রাক থেকে খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। যাতে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা নিয়ে যেতে পারেন।