১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্ট আজ বুধবার গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সাত আসামি খালাস পেয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাটে ধরা পড়ে ১০ ট্রাকভর্তি অবৈধ অস্ত্রের একটি চালান। অস্ত্র আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে কর্ণফুলী থানায় দুটি মামলা করা হয়।
বিচারিক আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় দেন।
সেই রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (যার ফাঁসি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এবং পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজকের রায়ে সাতজন আসামি খালাস পেয়েছেন। পাশাপাশি পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই রায় শুধু একটি বহুল আলোচিত মামলার সমাপ্তি নয়; এটি দেশের বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রায়টি দেশের আইন ও শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির সৃষ্টি করেছে।
আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, এই মামলার বিষয়টি আপিল বিভাগে আরও বিশ্লেষণের মুখোমুখি হবে।
বায়ান্ন/এএস