শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমরা সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। আমরা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে চাই। এজন্য পঠনপাঠনে পরিবর্তন করতে হবে। আর পিছিয়ে থাকা যাবে না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। এজন্য প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ।’
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবাস বাংলাদেশ মাঠে ‘জাতির পিতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কর্মময় জীবন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীকে শুধু জ্ঞান দান করলাম। পরীক্ষা শেষে সনদ দিয়ে দিলাম, আর সে বেরিয়ে গেল। তারপরে সে উদ্যোক্তা হতে পারল কিনা, কর্মসংস্থান করতে পারল কি না, ভালো চাকরি পেল কিনা সেটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই, তা যেন না হয়।’
দীপু মনি আরও বলেন, ‘আজকে যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, তা মোকাবেলার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা এমন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করবো, যারা ভৌগলিকভাবে ছোট আয়তনের দেশকে বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করবে। তারা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে দক্ষ, যোগ্য ও একই সঙ্গে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে তৈরী হবে। তারা সুনাগরিক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বনাগরিক হয়ে উঠবে।’
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অপর্ণ করেন। এরপর শহীদ শামসুজ্জোহা ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পাশে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ হলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট্য নাট্যজন মলয় ভৌমিক, সম্মানিত অতিথি হিসাবে রাজশাহী সিটিকর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দীন, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা, রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।