লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নুরনবী মাষ্টার ও তার বাহিনীর হামলায় একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমনের পরিবারের ৫ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. মাহফুজুর রহমান সুমনের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমনের বড় ভাই আবুল বাসার, মা রহিমা বেগম, বাবা সৈয়দ আহাম্মদ, ভাবি রুনা আক্তার ও ভাতিজি পিংকি আক্তার।
এ ঘটনায় সুমনের ভাতিজি আহত পিংকি আক্তার লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পূর্ব চর মনসা এলাকার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমনের বাড়ির পাশের জমিতে বন্যার পানিতে ভেসে আসা মাছ ধরতে যায় সুমনের বড় ভাই আবুল বাসারসহ অন্যরা। জমি ও মাছ কোনটিই আওয়ামী লীগ নেতা নুরনবী মাষ্টারের না হলেও মাছগুলি তিনি একা ভোগ করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় তাদেরকে মাছ ধরতে বাঁধ প্রদান করে। এনিয়ে তাদের দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে ঘটনার পরের দিন (১৮ অক্টোবর) শুক্রবার দুপুরে সন্ত্রাসী নুরনবী মাষ্টার, তার ছেলে মোহন ও নুরনবীর স্ত্রী ঝর্ণা বেগমসহ ৫-৬ জনের সন্ত্রাসী দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে বাড়িতে থাকা আবুল বাসার, রহিমা বেগম, সৈয়দ আহাম্মদ, রুনা আক্তার ও পিংকি আক্তারের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা সকলে গুরুতর আহত হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়ে ভাঙচুর ও লাটপাট করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলায় গুরুতর আহত আবুল বাসারের মেয়ে আহত পিংকি আক্তার বলেন, তারা আমাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং আমাদের বসত বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। তাদের হামলায় বর্তমানে আমার বাবা আবুল বাসার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এই ঘটনায় সন্ত্রাসী নুরনবী মাষ্টারসহ জড়িত সকলের বিচার দাবি করছি।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে