আ'লীগ সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময় ক্রয়-বিক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ব্যবহার, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক চরম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়টি সত্য অনুসন্ধান কমিটি করেছে। ৩ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এবিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই কমিটি ২০১২ সালের জুলাই থেকে থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো প্রকার আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি থাকলে তা চিহ্নিত করবে। প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, রুলস-রেগুলেশন ও সরকারি বিধিবিধান লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে তা নিশ্চিত করবে কমিটি।
১১ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান। কমিটির উপদেষ্টা করা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে এবং কমিটির অন্যন্য সদস্যরা হলেন- প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কামরুল হাসান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিসম্পদ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাব্বির মোস্তফা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা।
বায়ান্ন/এসএ