রাজশাহীর বাগমারায় আসন্ন ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। উক্ত নির্বাচন ঘিরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান সহ সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা। এদিকে প্রচার-প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত নৌকার প্রার্থীর অফিস সহ অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। কোন সংকেত বা অবহিত না করেই নির্বাচনী অফিস ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ করেছেন নরদাশ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী গোলাম সারওয়ার। নির্বাচনের পূর্বে প্রশাসনের এরকম আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে অভিযোগও করেন তিনি।
এদিকে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘনের কারনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ অফিস ভাঙ্গা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান।
মঙ্গলাবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা মোড়ে নৌকার একটি এবং গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আল-মামুন প্রামানিকের বিভিন্ন স্থানে ৩টি নির্বাচনী অফিস গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে অফিসে থাকা নৌকা সহ ব্যানার পোস্টার গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অফিস ভাঙ্গার প্রতিবাদে গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল করেন নৌকার সমর্থকরা। এছাড়া
নির্বাচনী অফিস গুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসীকে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছেন নৌকার প্রার্থী গোলাম সারওয়ার।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান বলেন, নির্বাচনী নিদের্শনা অনুযায়ী প্রতি চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩টি, সাধারণ সদস্য এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা ১টি করে নির্বাচনী অফিস করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। এমন নিদের্শনা থাকলেও দেশের কোথায় এমন নিয়ম মানার প্রবণতা নেই। তাই অবৈধ অফিস ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে ।
অভিযোগের ভিত্তিতে অবৈধ নির্বাচনী অফিস ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। নির্বাচন নিয়ে কোন বিশৃংখলা হলে ছাড় দেয়া হবে না।