ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইমো হ্যাকিং চক্রে ওরা পাঁচজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৫:২১:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইমো একাউন্ট হ্যাকিং ও প্রতারক চক্রের ৫ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিট। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপরাধ কার্যক্রমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানা এলাকার মো. আরিফুল ইসলাম (৩১), মো. শিমুল হোসেন (২২), নাটোর জেলার লালপুর থানা এলাকার মো. সাহাবুল ইসলাম প্রকাশ শাহাবুল (৩৯), মো. ইব্রাহিম হোসেন প্রকাশ বাপ্পী (২১) ও মো. হৃদয় হাসান প্রকাশ শাহীন (২৩)।

হ্যাকিং চক্রের সদস্যরা ইমো একাউন্ট হ্যাকিং এর মাধ্যমে প্রতারণাপূর্বক বিকাশ, নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে দেশ ও বিদেশের অনেক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

 

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ইমো একাউন্ট হ্যাক করে কন্টাক্ট লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ এবং নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে-এমন অভিযোগ এসেছে। গত ২৩ জুলাই একজন ভুক্তভোগী চকবাজার থানায় এজাহার দায়েরের পর মামলার তদন্তভার পেয়ে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিট অভিযানে নামে।

 

উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পাবনা থেকে আরিফুলকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে শিমুলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর নাটোর থেকে প্রতারক চক্রের সদস্য সাহাবুল, ইব্রাহিম ও হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য ঢাকার সাভার, নোয়াখালীর সুধারাম ও বেগমগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।  

জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইমো একাউন্ট হ্যাক করে কন্টাক্ট লিস্টে থাকা ব্যক্তির কাছ থেকে বিকাশ এবং নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে। ইতিপূর্বেও তারা অসংখ্য ইমো একাউন্ট হ্যাক করে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন ব্যক্তির বিকাশ ও নগদ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।  

 

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, হ্যাকিং চক্রের এই সক্রিয় সদস্যদের বিরুদ্ধে পূর্বের একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।