বিএনপি দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রন করছে এমন কথা বলে সমস্যাটাকে হাস্যেকর অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এভাবে এই সরকার জনগণের প্রতি তামাশা করতেছে। দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। মানুষ নাভিশ^াস হচ্ছে, চাল ডাল কিনতে পারছে না। সেখানে আওয়ামী লীগ এসব হাসির কথা বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে।
রোববার সকাল ১১টায় শহরের কালিবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, এই সরকার জনগনের দাড়া নির্বাচিত নয় সেজন্য যা খুশি তাই বলে। তারা উদ্ধত্ব আচরণ করে, জনগণের সাথে মশকরা করে তারা। আজকে তাদের চরম ব্যর্থতা, এই ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন করানো উচিত বলে আমি মনে করি।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, এই সরকার টিকে আছে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে। তারা রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যাবহার করছে অন্যায় ভাবে। এর কারণে আজ ভিন্নমত যারা পোষন করে, জনগণের পক্ষে যারা কথা বলছেন তাদেরকে পর্যন্ত কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সংবাদকর্মীরা যেন কথা বলতে না পারে, লিখতে না পারে সেজন্য অনেকগুলো আইন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন আছে সেটাতে ৬শত এর বেশি সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। বর্তমান নতুন নিতিমালায় সরকার নিয়ন্ত্রন করবে আপনার আমার কথা। আমাদের সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে, জনগণের মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে, আমরা অবিলম্বে এই নীতিমালাকে বাতিল করতে বলেছি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।