কক্সবাজার জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের চার বছর মেয়াদী কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বৃহস্পতিবার রামু উপজেলার আওতাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন রাবার বাগান বিশ্রামাগারে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিরতিহীনভাবে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।
নিবার্চনে সভাপতি পদে সাঈদী- হেলাল- শোয়েব প্যানেলের নেতৃত্বদানকারী ফজলুল করিম সাঈদী ১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের বর্তমান কমিটির সভাপতি।
সাঈদীর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন নান্নু-জাহেদ- ফরহাদ প্যানেলের নেতৃত্ব দেওয়া এ. কে. এম রাশেদ হোছাইন নান্নু। তিনি পেয়েছেন ১৮ ভোট। সভাপতি পদে বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীর ব্যবধান মাত্র ১ ভোট।
সহ-সভাপতি পদের দুটি পদে ও নির্বাচিত হয়েছেন সাঈদী নেতৃত্বাধীন প্যানেলের প্রার্থীদ্বয়। তারা হলেন ২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত শোয়েব ইফতেকার চৌধূরী ও ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হেলাল উদ্দিন কবির। বিজিত প্রার্থীদের মধ্যে নান্নুর নেতৃত্বের প্যানেলের মো: জাহেদ উল্লাহ ১৭ ভোট ও ফরহাদুজ্জামান পেয়েছেন ১৫ ভোট। এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২১ ভোট পেয়েছেন সহ-সভাপতি প্রার্থী শোয়েব ইফতিকার চৌধূরী।
কোষাধ্যক্ষ পদে ও নির্বাচিত হয়েছেন সাঈদীর প্যানেলের মাসুদ আলম। তিনি ২০ ভোট পেয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নান্নুর প্যানেলের প্রার্থী বিজিত ইসমাইল জাহেদ পেয়েছেন ১৭ ভোট।
সদস্য পদে মোট ৯টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলের ১৮জন প্রাথী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নান্নুর প্যানেলের জ্যোতিস্ময় বড়ুয়া। সদস্য পদে ১৯ ভোট করে পেয়েছেন ৯ জন সদস্য প্রার্থী। ওই ৯ জন হলেন সাঈদীর প্যানেলের (৬ জন) সিদ্দিক আহমদ, খোরশেদ আলম, খালেদা জেসমিন, খালেদ মোহাম্মদ আজম (বিপ্লব), ওয়াহিদ মুরাদ সুমন ও মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, নান্নুর প্যানেলের(৩জন) সুবীর বড়ুয়া বুলু, মো: রশিদ আনসারী ও মো: কাশেম আনসারী। ১৩ সদস্যের কার্যকরী পরিষদে সদস্য পদ ৯ টি। এখন নির্বাচিত হয়েছেন ১০ জন। যে ৯ জন ১৯ ভোট করে পেয়েছেন তারমধ্যে ৮ জন পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। একজনকে সরে যেতে হবে। এই জটিল বিষয়টির সমাধান দিবেন দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
অপরদিকে সদস্য পদে বিজিতদের মধ্যে এ. এম. এম শাহজাহান পেয়েছেন ১৬, নুরুল আবচার ১৭ , আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন ১৬ , জিয়াউর রহমান ১৬ , শফিউল আলম ১৭ , সৈয়দ করিম ১৩ , সুপন বড়ুয়া শিপন ১৭ ও খোরশেদ আলম ১৬ ভোট।
নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩৮ জন। তারমধ্যে ৩৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটার এ,এস,এম শাহাজাহান তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। তিনি সাঈদীর প্যানেল থেকে সদস্য পদে একজন প্রার্থী ও ছিলেন।
গত ১৭ নভেম্বর বুধবার ভোট গ্রহণের তারিখ পূর্বনির্ধারিত ছিল। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্হগিত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। পরে গত বুধবার (১৭ নভেম্বর) কক্সবাজার সদরের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা স্হগিত করে আদেশ দেন। এই আদেশবলে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে সকল আইনী বাঁধা অপসারিত হয়। আদালতের আদেশ পেয়ে নির্বাচন কমিশন গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সুচারুভাবে সম্পন্ন করে।
নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, দৈনিক রূপসীগ্রামের সম্পাদক মো: খোরশেদ আলম, নির্বাচন কমিশনার ফরহাদ ইকবাল ও জমির হোসেন স্বাক্ষরিত নির্বাচনের ফলাফল বিবরণীসূত্রে ভোটের এসব তথ্য জানা গেছে।