মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মুন্সীবাজার ইউনিয়নে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে সংখ্যালঘু নিরীহ সহোদরের পৈত্রিক জায়গাজমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী দীপ্তিময় ভট্টাচার্য্য গত ৪ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৫৬ সনের সেটেলমেন্ট জরিপের সময় দিপ্তীময় ভট্টাচার্য্যরে পিতা নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য নাবালক ও জমিজমা বিষয়ে অনবিজ্ঞ ছিলেন। ফলে তার সহোদর শীশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রতাপ চন্দ্র ভট্টাচার্য, শুধাংশু ভট্টাচার্য, শশাংক শেখর ভট্টাচার্য ও নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে জমিজমা তাদের নামে রেকর্ড করে নেন।
দিপ্তীময় ভট্টাচার্য বলেন, বাবা নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য মারা যাওয়ার পর শীশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের পুত্র কালীপদ ভট্টাচার্যের সাথে বসবাস করতে থাকি। কালীপদ ভট্টাচার্য এই সমূহ সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। যখন বুঝতে পারি পিতৃ সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য আমার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, তখনই উত্তরাধিকারী সূত্রে অংশের সহায় সম্পদের দাবী করতেই মারধর করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে খুবই দু:খ-কষ্টে জীবন যাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, নিজ গ্রামের মুরব্বিয়ানরা অনেক বার সালিশের মাধ্যমে এ বিষয়ে সমাধোনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। বাধ্য হয়ে ১৯৯৬ ইংরেজিতে একটি বাটোয়ারা মামলা করি। মামলা উঠিয়ে আনলে সম্পতি ভাগ করে দিবেন কালীপদ ভট্টাচার্য এমন শর্তে মামলা উঠালে মৌখিকভাবে ১৮০ শতক জায়গা দেন এবং বলেন সবকিছু ঠিকঠাক হলে পরে সমস্ত ভাগ বুজিয়ে দিবেন। পরে আর সম্পত্তি দেয়নি। সম্প্রতি সময়ে কালীপদ ভট্টাচার্যের ছেলে পার্থ ভট্টাচার্য গ্রীলের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মারধর করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
এক পর্যায়ে লোহার রড নিয়ে আমার ছেলেকে কোমর ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা চালায়। ছেলের ও পরিবারের প্রাণের নিরাপত্তার খাতিরে পরদিন সকাল বেলা বাড়ি ছেড়ে শমশেরনগর বাজারে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করি। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সনের ২৯ নভেম্বর মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেই। চেয়ারম্যান বিষয়টি সুরাহা করতে না পারায় গত ৪ জুলাই কমলগঞ্জ ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগ বিষয়ে কালিপদ ভট্টাচার্য্য বলেন, দিপ্তীময়ের বাবার কোন জায়গাজমি নেই। তিনি বিক্রি করে চলে গেছেন। তাছাড়া তিনি বাড়ি থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেরিয়ে গেছেন। কেউ তাকে বের করেননি। তার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
ভারপ্রাপ্ত কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রইছ আল রেজুয়ান জানান, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।