তীব্র গরমে গত কয়েক দিন ধরে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এতে চা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ চিত্র মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। তবে বৃষ্টি হলে লোডশেডিং কমে আসবে।
উপজেলায় আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন লক্ষাধিক গ্রাহক। ছোট-বড় মিলে ২২টি চা বাগান ও বিভিন্ন কলকারখানা রয়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে চা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করণ ব্যাহত হচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এর ফলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে না। একই সঙ্গে লো ভোল্টেজের কারণে মেশিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। চা বাগান ফ্যাক্টরি ছাড়াও ওয়েল্ডিং, রাইস মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা লোডশেডিংয়ের কারণে চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।
উপজেলার ইলেকট্রিক ওয়েল্ডিংয়ের কারখানার মালিক সেলিম মিয়া বলেন, প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এমনিতেই দাবদাহ চলছে এর মধ্যে বিদ্যুৎ থাকে না। দিন শেষে ৫-৬ জন কর্মচারীর বেতন দিতে হয়। অথচ বিদ্যুৎ না থাকায় কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে চা প্রক্রিয়াজাত করণ ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত লো ভোল্টেজের কারণে মেশিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সবকিছু মিলে বর্তমানে ১০০ ভাগের জায়গায় ৬০ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে। এর কারণে ফ্যাক্টরিগুলো লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনালের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলের মানুষেরা অনেক বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বৃষ্টি হলে লোডশেডিং কমে আসবে। চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছি না আমরা। দিনের বেলা ২২ মেগাওয়াটের জায়গায় ১০ মেগাওয়াট পাচ্ছি আর রাতে ১৬ মেগাওয়াটের জায়গায় ৮ মেগাওয়াট পাচ্ছি আমরা।