করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৪ জনেই অপরিবর্তিত আছে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল), বুধবার (১৩ এপ্রিল) ও মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) করোনায় মৃত্যুশূন্য ছিল দেশ। এ ছাড়া তার আগের দিন (১১ এপ্রিল) দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হলেও, এর আগে ৫ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছয় দিন দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ২২৪ জনে।
এ ছাড়া সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮০ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯০ হাজার ২৬৪ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৭ জন। মারা গেছেন আরও ৩ হাজার ৩৬৯ জন। যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি।
এ নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ২২৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ কোটি ৩১ লাখ ৬২ হাজার ৫২৪ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৮৭২ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।
এরপর আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম জার্মানি, যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪২তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।