ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

কানাইঘাটে অসহায়দের পাশে ইত্তেহাদুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন

কানাইঘাট প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৫ জুন ২০২২ ০৭:২৫:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেট। পানির অপর নাম জীবন,অথচ সেই পানিই আজ সিলেটবাসীর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনদশকের ইতিহাসে সিলেটবাসী এমন বন্যা অতীতে আর দেখে নি। বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে জেলার সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপেজলা অন্যতম।

এ জনপদের লক্ষাধিক মানুষজন পানিবন্দি। বাজারঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম খাদ্যাভাব ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি গোয়াইনঘাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ঘরবাড়ি হারানো নিরুপায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রেই দিনরাত পার করছে এখনো।

এমন নাজুক পরিস্থিতিতে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে 'ইত্তেহাদুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন।' প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা সফর করে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নিচ্ছেন সংগঠনটির কর্মীরা।সাধ্যানুযায়ী প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা দিচ্ছে বন্যার্তদের। শুকনো খাবার,ওষুধ সামগ্রী, চাল-ডাল যেখানে যা প্রয়োজন তা নিয়ে-ই হাজির হচ্ছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি মেরামতে স্বশরীরেই সেবা প্রদান করছেন।

বন্যাগ্রস্ত বিভিন্ন গ্রামের মানুষজনদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান' টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বসতঘর ডুবে গিয়ে চরম বিপাকে দিন পার করছি।পানিবন্দি জীবনে বাজারে যেতে না পারায় খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। কঠিন এই দুঃসময়ে জনদরদি তরুণ আলেম সুলতান মাহমুদ নিজ কাঁধে করে খাদ্য নিয়ে মানুষের দরজায় দরজায় হাজির হচ্ছেন।

সংগঠনটির চেয়ারম্যান তরুণ আলেম মাওলানা সুলতান মাহমুদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বন্যায় প্লাবিত মাতৃভূমি সিলেটের অন্যান্য এলাকার মত ভাল নেই গোয়াইনঘাটও। পানিবন্দি মানুষজন না খেয়ে মৃতপ্রায় জীবন পার করছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বন্যার সম্মুখীন সিলেট। গতবারের মত এবারো কঠিন এ পরিস্থিতিতে মানুষের খেদমত করার চেষ্টা করছি।'

কাজের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মানুষের দেখভাল করছি। প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ইত্তেহাদুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন টিম।

স্থানীয় আলেমরাও কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমাদের গোয়াইনঘাট উপজেলার আলেম ও তরুণ সমাজ আমার সঙ্গে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন। আমরা যতটুকু পারি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের কার্যক্রম দেখে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলেও শুনেছি। এটিই আমার বড় পাওয়া।