মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় হত্যা মামলা আপস করতে রাজি না হওয়ায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আইয়ুব আলী তালুকদার।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে শহরের অভিজাত একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইয়ুব আলী বলেন, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি রাতে আমার ভাই সিএনজিচালক লিল মিয়াকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভাটেরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের শামিম আহমেদ ওরফে শামিম মোল্লা ও শাওন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
তিনি বলেন, গত ১৪ মে শামিম মোল্লার ভাই সাহেদ আহমদ, রহিম খান ও উসমান খান কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার ভাইয়ের স্ত্রী সুলতানা বেগমকে মামলা আপস করতে চাপ দেন। এ সময় আমার ভাবি আপসে রাজি না হয়ে তিনি আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের কথা বলাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে গুরুতর আহত ভাবিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি এবং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ১৯ মে সাহেদ আহমদ তার সঙ্গীয় কয়েকজন নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি (সাহেদ) আমার পরিবারকে নিয়ে ভয়ংকর মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্ভট অভিযোগ করেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার ভাই লিল মিয়া হত্যার বিচার চাই।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাহেদ আহমদ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি কারও বাড়িতে মামলার বিষয়ে আপস করতেও যাননি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।