সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে লোকেশ রায় (৩৬) এর মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। রবিবার দুপুরে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। নিহত লোকেশ রায় কালাইরাগ গ্রামের বিষ্ণু রায়ের ছেলে।
শনিবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহযোগিতায় কালাইরাগ সীমান্তের ১২৫১ নম্বর পিলারের পাশে সাদা পাথর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার দুপুরে শৈলেন চন্দ্র নামের আরেক বাংলাদেশি যুবক ভারতীয়দের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হয়ে বাংলাদেশের ভূমিতে ফেরত আসেন। তিনিও একই গ্রামের বাসিন্দা। শৈলেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লাশ উদ্ধারকাজে থাকা কোম্পানীগঞ্জ থানার এক পুলিশ সদস্য বলেন, নিহত লোকের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। এলোপাতাড়ি গুলির কারণে নিহত ব্যক্তির কোমরের নিচে ও যৌনাঙ্গে গুলির আঘাতটি ছিলো গুরুতর।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে লোকেশ রায়ের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে শৈলেন ও লোকেশ কালাইরাগ সাদা পাথর সীমান্তে ভারতের অংশে চলে গিয়েছিলেন। পরে ওই এলাকার ভারতীয় নাগরিকেরা তাঁদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়েন। এ সময় শৈলেনের গায়ে কয়েকটি ছররা গুলি লাগে। পরে তিনি আহত অবস্থায় বাংলাদেশের ভেতরে চলে এলেও লোকেশ রায় বাড়িতে ফেরেননি। শনিবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কালাইরাগ ১২৫১ নম্বর পিলারের পাশে লোকেশের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকার খবর পায় কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। পরে বিজিবি সদস্যদের সহায়তায় লোকেশের গুলিবিদ্ধ লাশ পিলারের প্রায় ১০ গজ অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে শৈলেন ও লোকেশ কালাইরাগ সাদা পাথর সীমান্তে ভারতের অংশে চলে গিয়েছিলেন। পরে ওই এলাকার ভারতীয় নাগরিকেরা তাঁদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়েন।