ঢাকা, শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়তি রোগীর চাপ, হিমসিম খাচ্ছে ডাক্তার-নার্স

এম রাসেল আহমেদ, জয়পুরহাট: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪:০০ অপরাহ্ন | রাজশাহী
বেশ কিছুদিন ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গেল  তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের অসহনীয় তীব্রতা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো জন জীবন। তাপদাহের কারণে বৃদ্ধি পেতে থাকে জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হিট স্ট্রোকসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। এতে হাসপাতালে তৈরি হয়েছিলো বাড়তি রোগীর চাপ। প্রচন্ড দাবদাহে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় অনেকের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের মেঝে ও করিডরে। আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলো হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে আবারো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে এতে হাসপাতালে কমতে শুরু করেছে বাড়তি রোগীর সংখ্যা। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
 
 
এদিকে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তীব্র গরমের কারণে গত কয়েকদিন আগে থেকেই রোগীর চাপ বেড়েছিলো। তবে বর্তমানে কমতে শুরু করেছে এই সংখ্যা। আবারো গরম বাড়লে রোগীর সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছেন তারা। গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে অসুস্থ বয়স্ক ও শিশুরা। 
 
 
তারা বলছেন, তীব্র গরমে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানি খাওয়ার কারণেই হাসপাতালগুলোতে জ্বর, সর্দি, হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ে। তাই এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
 
 
সরজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হয়। কেউ আবার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এছাড়া সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আউটডোরে চিকিৎসাপত্র নেয় অসংখ্য রোগী।
 
 
মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি উপজেলার নশিরপুর গ্রামের ফেরেজা নামের এক নারী বলেন, আমি গত ছয়দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিলো। তবে এখন একটু কমে গেছে। 
 
 
ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু তামিম এর পরিবারের লোকজন জানান, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি। বেড খালি না থাকায় আমাদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। 
 
 
ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আতিকুর রহমান বলেন, তীব্র গরমে শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, রিকশাচালক, কৃষক ও নির্মাণশ্রমিকদের মত শ্রমজীবী, যাদের ওজন বেশি এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ– বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ আছে– এমন ব্যক্তিরা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন। তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। গরমে ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। খাবার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বিশেষ করে যারা শিশুদের খাওয়ান, যত্ন নেন, তাদের এ বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে।