৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল করে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের আদেশ দিতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে আবেদন করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একাংশ।
সোমবার পাঠানো আবেদনের বিষয়টি মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু।
এই আবেদনে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা আপনার আছে। যে ক্ষমতা সংবিধান আপনাকে দিয়েছে। দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন রক্ষায় সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল করে বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করে বাঁচার সুযোগ দিন।’
আইনজীবীরা বলেন, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ হলো ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার। কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে।
খালেদা জিয়ার সাজা নিঃশর্তে বাতিল করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু, অ্যাডভোকেট ড. মো. হামিদুর রহমান রাশেদ, অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন, অ্যাডভোকেট মুহিত জোবায়ের, অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান, অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দীন বাদশা, অ্যাডভোকেট শওকতুল হক, অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হাসান, অ্যাডভোকেট এমাদুল হক এবং অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ।
এছাড়া মানবিক কারণে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অপর একটি একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যসহ ১৫ জন বিএনপিপন্থি আইনজীবী মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই স্মারকলিপি দেন।