নিরাপদ ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমাদের আন্দোলন চলমান। গণতন্ত্রের জন্য অতীতেও বিএনপি তীব্র আন্দোলন করেছে। আমাদের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সারাজীবন গনতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মাদার অব ডেমোক্রেসি হিসাবে দেশ-বিদেশে পরিচিত।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজবাড়ী জেলা শাখা আয়োজিত এক যৌথ-কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার মূল চেতনা-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন পথযাত্রায় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিক-নির্দেশনামূলক এই যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ২৪'র গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। পৃথিবীর নৃশংসতম ফ্যাসিস্ট মাফিয়া হাসিনা পালিয়েছে। জার্মানীর হিটলার আর ফ্যাসিস্ট হাসিনা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। হাসিনা দেশ ও জাতির শত্রু। গণশত্রু। ফ্যাসিস্টের দোসর কারো রাজনীতি করার অধিকার নাই। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে যেন ফ্যাসিস্ট অপশক্তি আর কখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে কারন হাসিনা দিল্লিতে বসে এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের সকল মৌলিক উপাদানগুলো নিশ্চিত করতে হবে। জনগনের ভোটের অধিকার, মানুষের বাক-স্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়-বিচার ফিরিয়ে দিতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি দীর্ঘ ১৮ বছর সীমাহীন ত্যাগ শিকার করেছে। একটা জাতির সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ইতিহাসে এই ত্যাগ বিরল।
দলে কোনো ধরনের সুযোগসন্ধানী অনুপ্রবেশ করতে পারবে না, ফ্যাসিস্টের দোসরদের দলে জায়গা দেওয়া যাবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কেউ যদি সংগঠন বহির্ভূত কোনো কাজে লিপ্ত হয়, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
যৌথ কর্মীসভায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক ও স্বেচ্ছাসেবক দল সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ রাজবাড়ী জেলা যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বায়ান্ন/একে