ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সাবেক সিইসি আব্দুর রউফের প্রশ্ন

আইন অনুসরণ করে কয়টা রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে?

এম এম লিংকন: | প্রকাশের সময় : বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:১৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

দেশের কয়টা রাজনৈতিক দল আেইন অনুসরণ করে তৈরি হয়েছে এমন প্রশ্ন তুলে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, যেই দেশের দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, তারা কী করে গণতন্ত্র কায়েম করতে পারে। 

এছাড়া মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণেই সংসদ সদস্যদের (এমপি) চরিত্র নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তিনি আনুপাতিক হারে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে  নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আমন্ত্রণে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

সংসদীয় পদ্ধতি রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকার ওই দিকের বিশিষ্ট সিস্টেম আনার দরকার নাই। নির্বাচনকে সরলীকরণ করতে হবে। মনোনয়ন বাণিজ্য যদি বন্ধ করা না যায় সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কেননা, মনোনয়নপত্র বাণিজ্যটাই নির্বাচনটাকে ট্রেডিংয়ে এনেছে। ২০ কোটি টাকা দিয়ে কিনব, ১০ কোটি টাকা ছড়াব। পাঁচ বছর থাকলে দুইশ, আড়াইশ কোটি টাকা লাভ করব, সোজা হিসাব। এমপি চরিত্র নষ্ট হচ্ছে এজন্য। কাজেই আনুপাতিক হারে নির্বাচন করেন যোগ করেন তিনি। 

দেশের সাধারণ মানুষ, তাদের দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে ভোট চালানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কোনো ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ কিচ্ছু নেবেন না। তাদের মনকে দৃঢ় করেন। তারা দেশের মালিক। তাদের ওপর দায়িত্ব দেন। এখানে ভোটকেন্দ্রগুলো স্থায়ী করেন। আড়াই লাখ ভোটকেন্দ্র করেন। প্রতি কেন্দ্রে ৫শর বেশি ভোটার থাকবে না। ভোটার ক্লাব করেন। ১১ জনের নির্বাহী কমিটি থাকবে। পাঁচজন মহিলা, ছয়জন পুরুষ; তারা ভোটটা চালাবে। ছাত্র-জনতা শিক্ষিত যারা আছেন, তারা স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা দেখবে যোগ করেন তিনি।   

তিনি বলেন, ভোট দেবে মানুষ দলকে  যখন দলকে দেবে, তখন পয়সা খরচের বিষয় থাকবে না। (মনে করি) ১২ কোটি ভোটার, নয় কোটি লোক ভোট দিল। ১৫টা দল আছে। ভোট যদি নয় কোটি হয়ে থাকে, ৩০০ আসন থাকলে ৩ লাখ ভোট হলে হয়। কাজেই কোনো দল তিন লাখ পেলে সংসদে একজন, ছয় লাখ হলে দুইজন এভাবে আসন পাবে। ভোটের আগে তৃণমূলে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করে দলগুলো ইসিকে তালিকা দেবে। ইসি লোকটা ভাল কি মন্দ, পাবলিক মতামত নেবে। অবজেকশন এলে তাকে বাদ দেওয়া হবে। ফুটবলের প্লেয়ার বদলের যেমন সুযোগ থাকে, তেমন করে বছরে পাঁচ জন বদলের সুযোগ থাকবে। তাহলে ভালো লোক আসবে কি-না। ৩০০ সংসদীয় আসন থাকবে না। সারাদেশ হবে একটা আসন।

তিনি আরো বলেন, আমি ছয়টা নির্বাচন করি। সংসদ নির্বাচনের যে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে, তার প্রতিনিধি ইউপিতে হবে। কাজেই এক নির্বাচনেই সব শেষ করা যায়। এতো কাগজ নষ্ট, এতো ব্যয় কমে আসবে।

বায়ান্ন/এমএমএল/একে