দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ বইছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছেন।
গরমের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগবালাই। এ গরমে ডায়ারিয়া, পেটের পীড়া, ঠান্ডা, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক হচ্ছে। তীব্র গরমে গত এক সপ্তাহে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ২১৫ জন রোগী।
তীব্র গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা তনুজা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, (১৫ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত) এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ ভর্তি হয়েছেন ৮৭ জন। এছাড়া জ্বরে আক্রান্ত ৪২ জন, পেটের পীড়ায় ২৮ জন সহ সর্বমোট ২১৫ জন ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিদিন বর্হিবিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে গড়ে ২০-২২জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। এছাড়াও জ্বর, পেট ব্যথা সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্তরাও চিকিৎসা নিয়েছেন বললেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সঞ্জয় সেন।
কানুনগোপাড়া গ্রামে দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বলেন, রোববার রাত থেকে হঠাৎ ডায়রিয়া শুরু হয় তার ষোলো বছর বয়সের মেয়ে অর্ত্তী চক্রবর্তীর। পরে সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সময় তার মেয়েকে সন্তানকে শুধুমাত্র স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার কধুরখীল এলাকা নুরজাহান বেগম ডায়রিয়া ও বমি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। তিনি বলেন, ডায়রিয়া ও বমি বেশী হওয়ায় সকালে ভর্তি করানো হয়।
বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. প্রতীক সেন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন, প্রচণ্ড গরম ও ফুড পয়জনিংজনিত কারণে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এক সপ্তাহে ৮৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে।
এছাড়া বর্হিবিভাগেও অনেক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। তিনি জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বেশি বেশি তরল খাবার দিতে হবে। এছাড়াও খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
