ঈদের আগে ৭৫০ টাকা কেজিতে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হলেও ঈদের সময় তা হঠাৎ বেড়ে ৮০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। সেই বাড়তি দামেই এখনো বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বেশি, সব ধরনের খরচও বেশি। তাই ৮০০ টাকায় বিক্রি না করলে লোকসান হয়ে যায়। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদের অজুহাতে গরুর মাংসের দাম বাড়ানোর পর এখনো বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে।
শুক্রবার (৫ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই-একটি দোকানে ৭৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং কক লেয়ার (লাল) প্রতি কেজি ৩৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে বাজারে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, শিং মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙাস মাছ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বড় টেংরা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, শোল মাছ আকার ভেদে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের পরও গরুর মাংসের দাম না কমার বিষয়ে রাজধানীর মহাখালী বাজারের ক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গরুর মাংস বিক্রেতারা সবসময় শুধু উপলক্ষ্য খোঁজে। কোনো উপলক্ষ্য পেলেই তারা গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয়। সব শেষ ঈদ উপলক্ষ্যে তারা গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে করল ৮০০ টাকা। কিন্তু ঈদ পেরিয়ে গেলেও দাম আর কমানোর কোনো লক্ষণ নেই। বাড়তি দামেই আমাদের কিনতে হচ্ছে। আগে ৭৫০ টাকা দাম ছিল, তারও আগে ছিল ৭০০ টাকা। যেকোনো উপলক্ষ্যে আসে আর সেই সঙ্গে বেড়ে যায় গরুর মাংসের দাম, তা আর কখনোই কমে না।
জানতে চাইলে রাজধানীর গুলশান লেকপাড় সংলগ্ন বাজারের মাংস বিক্রেতা চাঁদ মিয়া বলেন, গরুর যে দাম, রাস্তা খরচ, দোকান খরচ, কর্মচারী বিল সবমিলিয়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি না করলে লোকসান থেকে যায়। এমনিতেই আগের চেয়ে ব্যবসার অবস্থা খারাপ। আগের চেয়ে বিক্রি অনেক কমে গেছে, অনেকে এই ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া গরুর মাংস এখন আর কিনে না। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে বর্তমান বাজারে ৮০০ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব না।