বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ঘটনা তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তবে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে এখনই গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
তিন সদস্যর তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ইসির যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেন নির্বাচন কমিশন। সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন ইসি। পরে ওই উপ-নির্বাচনের ভোট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে স্থগিত করা কেন্দ্র বাদে বাকি কেন্দ্রগুলোর ফলাফল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এ আসনের উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির (জাপা) এ এইচ এম গোলাম শহীদ, বিকল্পধারা মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান এবং সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাদে বাকি চারজন দুপুরে ভোটবর্জন করেন।
এ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।