ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১

গাইবান্ধায় সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে র‍্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন

সঞ্জয় সাহাঃ | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৬ জুলাই ২০২২ ০৪:৫৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

কবি ও সাহিত্যিকদের টিকিয়ে রাখতে গাইবান্ধায় সাহিত্য সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সহযোগিতায় গাইবান্ধায় ২৬ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত দু দিনব্যাপী শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গনে সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে র‍্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মোঃ অলিউর রহমান। এর আগে একটি র‍্যালি স্বাধীনতা প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শুরুস্থলে গিয়ে শেষ হয়।

মুখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন- রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া  ডিনা।

মুখ্য আলোচক প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন-অনেক পড়লে জানার পরিধি বেড়ে যায়। কবির সংখ্যা অনেক হলেও প্রকৃত কবির সংখ্যা আদলে কম। বর্ণ ও ছন্দ মিলিয়েই কবিতা হয়না। আগামী ডিসেম্বরে  গাইবান্ধায় বই মেলা হলে অনুষ্ঠিত হবে। এতে এক লেখকের লেখা আরেক লেখা পড়বে এতেই আনন্দ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে লেখার সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। লেখক সত্তায় উজ্জীবিত হয়ে শুধু কবিতা গদ্য তে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।  গদ্য ও পদ্যের বেসিক সম্পর্কে জানতে হবে। কবিতার চর্চা করতে হবে। এতে পাঠক প্রবশ্যক হয়ে গড়ে উঠবে। আধুনিক কবিতায় মুক্তক ছন্দের বিষয় আছে। রুপকর্ম মানতার বিষয় আছে। আগামী প্রজন্মকে লেখকদের সম্বন্ধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাজহারউল মান্নান ও বিশিষ্ট কবি সরোজ দেব।

মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জহুরুল কাইয়ুম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, গাইবান্ধা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহীদ আহমেদ।

"পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন- কবিরা  সমাজ পরিবর্তন করতে কাজ করে। কবিতা সাহিত্যের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতকে দেখি, অতিতকে দেখি, বর্তমানকে দেখি। ভবিষ্যতকে কিভাবে বের করতে হবে তা উনারা সাহিত্যের মাধ্যমে তুলে ধরে। বর্তমানকে কিভাবে দেখতে তা আমরা তাদের মাধ্যমে দেখি। উপন্যাস পড়লে মনের ডিফাক্ট হয়। মানুষের মন প্রসারিত করে। অভিভাকরা তা বুঝে না। সবাইকে জানতে হবে। পড়তে হবে। সবকিছু বুঝতে হবে। মন বিকশিত হবে। এটা খুব বেশি জরুরী।"

উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক শফিকুর রহমান, গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাদেকুর রহমান, এনডিসি জুয়েল মিয়া, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা গুহ ইভা,  কবি  সাহিত্যিক ও সাংবাদিক অমিতাভ দাস হিমুন সহ বিভিন্ন কবি সাহিত্যিক, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি।
নিজেদের লেখা প্রবন্ধিত কবিতা পাঠ করেন কবি তৃনমূল কবি ও সাহিত্যিক নাসরিন বেগম, কবি পিটু রশিদ, গোলাম রব্বানী, কবি ও ইঞ্জিনিয়ার কুমকুম পাশা। 

শেষে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয় এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।