গাজীপুর মহানগরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, বোর্ডবাজার, কোনাবাড়ী, সালনা, বাইপাস, টঙ্গী স্টেশন রোড অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি রাস্তায় চলাচলকারী রিকশা থেকে প্রতিদিন নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন স্থানীয় ক্ষমতাশীল দলীয় বড় নেতাকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে। রিকশামালিকের জমা ও নেতাদের চাঁদা দিয়ে অনেক সময় খালি হাতে বাসায় ফিরতে হয় অসহায় রিকশাচালকদের। এমনিতেই বাজারের দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি, তারপর আবার সরকারি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়, মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে অসহায়দের। গত (২৮ মে) চৌরাস্তা ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে অটো রিকশা স্ট্যান্ডে ৫০ টাকা চাঁদা না দেয়ায় কথিত ‘জিপি’ আদায়কারী চাঁদাবাজরা সোহাগ হোসেন নামের একজন রিকশাচালককে পিটিয়ে আহত করে। আমাকে মাইরেন না’ রিকশা চালিয়ে টাকা আসলেই দিয়ে দেবো, এমন ধরনের আকুতি মিনতি করার পরও কোনো প্রকার দয়া হয়নি চাঁদাবাজদের, প্রতিদিন প্রতিটি রিকশা থেকে জিপির টাকা বলে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। আগামী (২৯ জুন) আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। রিকশাচালকরা এলাকার সরকারদলীয় প্রভাবশালী চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তারা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। শুধু তাইনা গাজীপুর মহানগরের প্রাণকেন্দ্র স্থানগুলো চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, বোর্ডবাজার, কোনাবাড়ী, সালনা, বাইপাস, টঙ্গী স্টেশন রোড এই স্থানগুলোতে লোক সমাবেশ সবসময়েই বেশি থাকে বলে দেখা যায় রাস্তার দুই পাশেই ফুটপাতের শত শত দোকান রয়েছে, এই ছোটখাটো ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। মুখ খুলে কিছু বলতে চাইলেই হামলা মামলা এবং বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখানো হয়। ব্যবসায়ীরা টাকা দিতে না চাইলে চাঁদাবাজরা বলে দোকান করতে হলে প্রতিদিন ট্যাক্স দিতে হবে না হয় দোকান বসাতে পারবে না। গাজীপুরে অটো রিকশার ড্রাইভার এবং ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ক্ষমতাশীল বড় বড় নেতাকর্মীদের নাম ভাঙিয়ে কুচক্রী মহলের কিছু লোক প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।