দীর্ঘ ৫৭ বছরেও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) আক্ষেপ ঘুচেনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের।
২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর চবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আক্ষেপ ঝরেছিল চবির সাবেক শিক্ষার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কণ্ঠেও।
ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৩৩ বছর আগে আমরা যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তখন আমরাও একটি টিএসসি’র দাবি জানিয়ে আন্দোলন করেছিলাম। অথচ সেই টিএসসি এখনও হয়নি।
অন্য সবার মত আমিও চাই, চট্টগ্রামে একটি টিএসসি করা হোক।
রোববার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম বার্ষিক সিনেট সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে চবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর মেয়াদি ডিজিটাল মাস্টার প্ল্যানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর মেয়াদি ডিজিটাল মাস্টার প্ল্যান এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও একাডেমিক কর্মকাণ্ডের উৎকর্ষ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার পরিবেশগত মানোন্নয়নের উদ্দেশে আগামী ৫ বছরে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে ‘চবির একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে স্থান পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প প্রস্তাবে নতুন ৩টি একাডেমিক ভবন, বিভিন্ন অনুষদের জন্য সায়েন্টিফিক রিসার্চ ল্যাব, ২য় প্রশাসনিক-কাম-সিনেট ভবন, টিএসসি ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য ২টি আবাসিক হল, ট্রান্সপোর্ট কমপ্লেক্স, সড়ক নির্মাণ, সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, সোলার পাওয়ার প্লান্ট কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কাজগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মাস্টার প্ল্যান এর আওতায় ব্যাপক একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে।
এদিন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৪০৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বাজেট পেশ করেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ।