ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পারাপারের অপেক্ষায় কয়েক’শ যানবাহন

চারটি ফেরির স্থানে মাত্র দু’টি চলছে কাজিরহাট-আরিচা নৌরুট

কলিট তালুকদার, পাবনা : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৪ জানুয়ারী ২০২২ ০৪:৫৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে বরাদ্দ চারটি ফেরির একটি অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়ায় এবং অন্য আর একটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ২টি ফেরি দিয়ে ধীরগতিতে পারাপার করা হচ্ছে যানবাহন। এতে করে যানবাহনকে পারাপারের জন্য ১৬-২০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শতাধিক যানবাহন। অন্যদিকে সোমবার দুপুরে ফেরি থেকে নামতে গিয়ে একটি ট্রাকের ইঞ্জিল বিকল হওয়ায় রাত পর্যন্ত ফেরিতে লোড-আনলোড বন্ধ থাকে। রাত ৯ টার দিকে ফেরি চলা চল শুরু হলেও ঘন কুয়াশার কারনে ভোর রাত থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে ফলে পারাপারে অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে আরো কয়েক গুন।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আমাদের এখানে ফেরি চালু হওয়াতে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম। অন্তত পাবনার মানুষজন অল্প সময়ে ঢাকা যেতে পারবে। এখন ঢাকা যাওয়া তো দূরের কথা, ফেরিঘাটই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। অনেকে একদিন এক রাত অপেক্ষা করেও ফেরি পার হতে পারছে না।
ট্রাক চালকেরা বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দীর্ঘ যানজট ও ওজনের  কারণে পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আসা যাওয়া ট্রাক চালকেরা এই নদীপথকে বেছে নিয়েছেন। এই নৌপথে যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ বাড়লেও ফেরি বাড়ানো হচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারছিনা। সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।  
চালকেরা আরো বলেন, কাজিরহাট-আরিচা নৌপথে ৬-৭টি ফেরির প্রয়োজন। কিন্তু চালু রয়েছে মাত্র দুটি। যে ফেরি ২টি ছোট ও ধীরগতির। ফলে কাজিরহাট ফেরিঘাটে পার হতে আসা যানবাহনের ভিড় লেগেই থাকে। যেখানে তিনটি পন্টুন দরকার সেখানে মাত্র একটি থাকায় শ্রমিকদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। আরও দুটি পন্টুন স্থাপনের দাবি জানান তারা।
কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, চারটি ফেরির মধ্যে বড় দুটি ফেরি নেওয়া হয়েছে অন্যঘাটে। দু’টি বড় ফেরি বদলে ছোট একটি ফেরি দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তিনটি ফেরি ঘাটে চলছিল। গত শনিবার
কপোতি নামের ফেরিটিতে যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দিলে সেটি মেরামতের জন্য আরিচাঘাটে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ফেরি কদম ও ক্যামেলিয়া নামে দুটি ছোট ফেরি চলাচল করছে। এত বড় রুটে মাত্র দুটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার সম্ভব নয়। বিষয়টি স্থানীয় এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি।
ঘাটের ব্যবস্থাপক মাহাবুবুর রহমান আরো বলেন, নানা সমস্যায় জর্জরিত এই ঘাট। প্রথমত ফেরিসংকট। তারপরও যেসব ফেরি এখানে দেওয়া হয়েছে সব পুরোনো ও ক্রটিযুক্ত। প্রায়ই ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।