হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চন উপলক্ষে ১০টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সাথে আচরণবিধি অবহিতকরণ ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নিবার্চন অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চুনারুঘাট উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার মাধবপুর (সার্কেল) এএসপি মহসিন আল মুরাদ, চুনারুঘাট উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বারিন্দ্র চন্দ্র রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীপক কুমার রায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানা ও চুনারুঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলী আশরাফসহ এ সময় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থীগণ।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি প্রার্থীদের উন্মুক্ত বক্তব্য এবং পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, এ নির্বাচনে কাউকে যদি অন্যায়ভাবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, কোন ধরনের কিছু করা হয় বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘঠানো হয়, তাহলে আমরা কিন্তু কোন ভাবেই কাওকে ছাড় দেব না। তিনি বলেন, পুলিং এজেন্টকে অনেক সময় দেখা যায় মোবাইল নিয়ে ডুকতেছে, তা এবার কঠোরভাবে দেখা হবে। ৫ম ধাপের এ নির্বাচনে প্রিজাইডিং আফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধাণ ব্যাতিত কারো কাছে এ নির্বাচনে মোবাইল থাকবে না। যে প্রার্থী যতই গর্জন করুক না কেনো তাতে কোন লাভ হবেনা, প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে, তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, আসন্ন ৫ই জানুয়ারী ২০২২ ইউপি নিবার্চন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য সকল সরকারী কর্মকর্তা, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীগণের নিকট সহযোগিতার আহবান জানান। তিনি বলেন, কোন প্রার্থী বা তার সমর্থনরা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে যদি ঘোলমাল সৃষ্টি করে, কোনভাবে একটা ব্যালট বক্স অথবা বস্তা সড়িয়ে নিয়ে সেখানে নির্বাচনটা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্ঠা করলে, তা শক্ত অবস্থানে দেখা হবে। শুধু ভোট দেওয়া ছাড়া কেউ ব্যালট পেপারে হাত দিবেন না। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কে কোন দলের, কে কার লোক সেটা এ নির্বাচনে দেখা হবে না। নির্বাচনে কোন ধরনের ঘোলমালসহ অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করা যাবে না। ভোট গ্রহণে কেউ হুমকি-দামকি দিয়ে বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। তিনি সকল প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করছি, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।