বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, “সরকার নির্বাচনের নামে দেশে নাটক মঞ্চস্থ করছে। জনগণের শত শত কোটি টাকা গচ্চা দিচ্ছে। বাস্তবে দেশে কোন নির্বাচন হচ্ছেনা, নির্বাচনের নামে সার্কাস চলছে। ডামী এই কতিত নির্বাচনে কোন বড় রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না। সরকার গৃহপালিত কিছু নামসর্বস্ব কিছু জনবিচ্ছিন্ন দল আর নিজেদের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে অংশগ্রহণমুল নির্বাচন হচ্ছে বলে প্রচার করছে। বাস্তবতা হচ্ছে এই নির্বাচনে আওয়ামী ছাড়া আর কেউ অংশ নিচ্ছে না। দেশের গণতন্ত্রকামী মজলুম মানুষ এই নির্বাচনকে বর্জন করেছে, মানুষের মনে ভোট উৎসবের আনন্দ নেই। আছে শুধু হতাশা আর আতঙ্ক। দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার হরন করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চলতে পারে না। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ৭ জানুয়ারী সর্বস্তরের মানুষকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে এবং বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের যার যার অবস্থান থেকে সামিল হতে হবে। আধার যত গভীর হয়, ভোর ততই নিকটবর্তী। সময় আর বেশী বাকি নেই গণতান্ত্রকামী জনতার বিজয় অনিবার্য ইনশাআল্লাহ।”
বুধবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম এলাকায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অসহযোগ আন্দোলনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। ডলার সংকটের কারনে আমদানি ব্যহত হচ্ছে। এর মধ্যেই সরকার এক তরফা নির্বাচন করে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। দেশবাসীর কোন ভাবেই এই নির্বাচন হতে দেবে না। তাই এই সংকট থেকে দেশকে বাঁচতে হলে এই নির্বাচনকে বর্জন করতে হবে, গণতান্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- তাজরুল ইসলাম তাজুল, কোহিনুর আহমদ, মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তুরন, শামসুর রহমান সুজা, আশরাফুল আলম বাহার, আব্দুল মালিক মল্লিক, পাবেল রহমান, আব্দুল মন্নান, সাদেক আহমেদ, রাসেল আহমদ, রায়হানুল হক, আশিক মিয়া, জুবায়ের আহমদ লিলু, ইয়াসিন আহমেদ ফাহিম, মাহফুজুর রহমান কাওছার, ফজলু মিয়া, এড. নুরুল ইসলাম, শাহ অলিদ, হামজা, ছালিক মিয়া, আল আমিন, মুক্তার মিয়া, অপু সুলতান, হেলাল আহমেদ, লিটন আহমদ, সানোয়ার বখত রাহিন, বাদশাহ মিয়া, আখলাক তানভীর, রাসেল আহমেদ, জুমন আহমেদ, সাহীন আহমদ, শওকত আলী, মেহেদি হাসান, সুহেল আহমদ, জাবেদ আহমেদ, নিজাম উদ্দিন, ফয়েজ আহমদ, কাউসার, মো : বাপ্পা, আলী হুসেন, রুবেল আহমদ প্রমুখ।