কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাঘমারা গ্রামে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের চাচা-ভাতিজার বিরোধ এখনো মিটেনি। আদালতে একাধিক মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও বিবাদী খলিলুর রহমান ওরফে দাদন মিয়া বিতর্কিত জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভাতিজা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
বসতবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোস্তফা কামাল তার চাচা খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে কুমিল্লা দেওয়ানী আদালতে ২০১১ সালে একটি বণ্টননামা মামলা দায়ের করেন, যার বর্তমান নম্বর ৪২/২২। এ ছাড়াও, জমি দখল ও ভবন নির্মাণের বিষয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ১৪৫ ধারা মামলা (নম্বর: ৬৪৫/২৩) দায়ের করেন।
এ ছাড়াও, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিপূর্বে সংঘর্ষের জেরে ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মোস্তফা কামাল হোমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (নম্বর: ৩/২৩)। এসব মামলার কোনো নিষ্পত্তি না হলেও বিবাদী খলিলুর রহমান বিতর্কিত জমিতে ভবন নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোস্তফা কামালের দাবি, আদালতের নির্দেশনা এবং পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে খলিলুর রহমান বারবার ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ‘প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে এই জমি নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে’।
অন্যদিকে, বিবাদী খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি’।
এ বিষয়ে হোমনার ইউএনও বলেন, ‘নালিশী জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি’।
দীর্ঘদিন ধরে চলা এ বিরোধের ফলে বাঘমারা গ্রামে চাচা-ভাতিজার মধ্যে কয়েক দফা মারামারি এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।