ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতাদের আনা গোনায় জমে উঠেছে গোপালগঞ্জের ঈদ বাজার।রোজার প্রথম দিকে বেচাকেনা কম থাকলেও ১১ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে বিপনী-বিতান গুলোতে।ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বিক্রিও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।তবে ক্রেতারা বলছেন সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো ঈদের জামা-কাপড়ের দামও বেশ চড়া।
বিগত দুই বছর করোনার কারনে ব্যাবসায়ীরা লোকশান গুনেছেন ঈদের বাজারে।আর তাই ব্যবসায়ীরা রোজার প্রথম দিকেই দেশী বিদেশেী বিভিন্ন ধরনের পোশাক এনে রেখেছেন। রোজার প্রথমেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রং-বেরংয়ের নতুন পোষাক সাজিয়েছেন।রোজার প্রথম দিকে বেচাকেনা কম থাকলেও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রেতাদের আনা-গোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিপনী-বিতান গুলো।
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বিক্রিও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ছিটকাপড় ও তৈরী পোষাকের দোকানেই ভিড় বেশী।গরমের আচ দিন দিন বাড়তে থাকায় সুতি জামা-কাপড়ের চাহিদা এবার বেশী।ভারতীয় ভিপুল থ্রি-পিচের চাহিদা বেশী। এর সাথে রয়েছে দেশী সুতি কাপড়ের মাইসা ও তিলক নামের পোষাকের।
ভীড় এড়াতে লোকজন আগে ভাগেই তারা পছন্দের জামা-কাপড় কিনে নিচ্ছেন।বাজার ঘূরে যাচাই বাছাই করে অনেকেই কিনছেন পছন্দের মানানসই পোষাক।তবে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন অন্নান্য বছরের তুলনা এবছর জামা-কাপড়ের দাম বেশী।
ক্রেতারা বরছেন,পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য ঈদের জামা-কাপড় কিনতে এসেছেন।ভিড় বেড়ে যাবার আগেই কেনা কাটা শেষ করতে চাইছেন সকলেই।গরমের কথা বিবেচনা করে অনেকেই দেশী-বিদেশী সুতি থ্রি-পিচ ও শাড়ি কিনছেন।তবে দাম বেশী হওয়ায় এক দোকান থেকে ঘুরছেন অন্য দোকানে।তারপরও যারযার সাধ্য মত কিনছেন পছন্দের পোষাক।
ব্যবসায়ীরা বলেন,ঈদের বাজার জমতে শুরু করেছে।এ বছর আমাদের পোষাকের কালেকশন বেশ ভাল।তবে অনন্য বছরের তুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো ঈদের জামা-কাপড়ের দামও বেশ চড়া। ধনী ব্যক্তিরা কিনতে পারলেও স্বল্প আযের মানুষেরা এক দোকান থেকে আর এক দোকানে ঘুরছেন। দামে বেশী হওযায় কেনাকাটায় অনেকেই হিমমিম খাচ্ছেন।এবছর গরমের কারনে শুতি কাপড়েই সকলের চাহিদা।আগামী দিগুলোতে কেনা বেচা আরো বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।